কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক সংলগ্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নন্দনপুর গ্রামে হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে বিজিবি ও পুলিশের সংঘর্ষে চার জন নিহত ও ১৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন
প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক :
এদিকে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা সদরে একটি মিছিল বের করে আওয়ামী লীগ৷ এ সময় মাদ্রাসার ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ গুলি চালালে একজন নিহত হন৷
দৈনিক প্রথম আলোসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়ন থেকে হেফাজতে ইসলাম একটি মিছিল বের করে৷ হেফাজতের মিছিলটি কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের নন্দনপুর এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ ও বিজিবি’র সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়৷ এসময় স্থানীয়রাও হেফাজতের মিছিলে যোগ দেন৷ তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চারদিক থেকে ঘেরাও করে৷ এ সময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিজিবি ও পুলিশ গুলি ছুড়ে৷ এ সময় গুলিবিদ্ধ বেশ কয়েকজনকে স্থানীয়রা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে৷ সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন৷ পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো একজনের মৃত্যু হয়৷ আহত ১৬ জন বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷
সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন ডয়চে ভেলেকে জানান আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷
এদিকে শনিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সাংসদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে একটি মিছিল বের হয়৷ সেখানে মাদ্রাসা ছাত্রদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়৷ সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ গুলি ছুড়লে একজন মাদ্রাসার ছাত্র নিহত হয়৷
নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে৷ তারা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার হারিয়া গ্রামের আবদুল লতিফ মিয়ার ছেলে ওয়ার্কশপের দোকানী জোর আলম (৪০), একই উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়েনের মৈন্দ গ্রামের জুরু আলীর ছেলে সুজন মিয়া (২২) ও সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ইবাদুল ইসলামের ছেলে নন্দনপুর বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় কর্মরত শ্রমিক বাদল মিয়া (২৮)৷সূত্র : ডয়েচে ভেলে।
আরও পড়ুন : রাজধানীসহ সারাদেশে বিজিবি মোতায়েন